একাদশী ব্রত কিভাবে সঠিক নিয়ম মেনে পালন করবেন?
একাদশী কি (What is Ekhadoshi)
একাদশী কি? এখন এই প্রশ্নের উত্তর আমরা খুব সহজভাবে দেওয়ার চেষ্টা করব।
একাদশী হল একটি চাঁদের তিথি। আপনারা জানেন চাঁদের দুটি পক্ষ এবং এবং ১৫ টি
তিথি আছে।
চাঁদের এই দুটি পক্ষ হল- ক. কৃষ্ণপক্ষ এবং খ. শুক্লপক্ষ। আর তিথি গুলো হল
যথা- প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষন্ঠী, সপ্তনী,
অষ্টমী, নবমী, দশমী, একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী, চতুর্দশী এবং পূর্ণিমা
অথবা অমাবশ্যা।
চাঁদের গতিপথের অমাবস্যার পরে পূর্ণিমা পর্যন্ত সয়কালকে শুক্লপক্ষ বলে আর
পূর্ণিমার পরে অমবস্যা পর্যন্ত সময়কালকে কৃষ্ণ পক্ষ বলে। চাঁদের এই দুই
পক্ষের অথাৎ কৃষ্ণপক্ষ এবং শুরুপক্ষ, হয়। তাই হিন্দুধর্মালম্বী মানুষের
কাছে নিরম্বু উপবাস বিহিত একাদশীর ব্রত অবশ্য পালনীয় কর্তব্যের মধ্যে
পড়ে।
উভয় পক্ষের একাদশী তিথিটিকে হিন্দু ধর্মে বিশেষ পুন্য অর্জনের দিন বলে মনে
করা
আমরা সবাই পুণ্য অর্জনের জন্য একাদশী ব্রত পালন করি, কিন্তু সঠিক নিয়মে
একাদশী ব্রত পালন না করলে তা পুন্যের থেকে পাপ বেশি। তাই এখনই সময় থাকতে
সাবধান⛔হন! এখন প্রশ্ন করতে পারেন– তাহলে কিভাবে সঠিক নিয়ম মেনে ব্রত পালন করবেন 🤔→❓
হ্যা, আজকে আমি আপনাদের সঠিক নিয়মে ব্রত পালন সম্পর্কে বলব। তাই দেরি না করে
চলুন জেনে নিই—
➤প্রথমেই শুরু করি একাদশী পালনের সাত্ত্বিক নিয়মগুলো দিয়ে ☞
✪ একাদশী পালনের সাত্ত্বিক নিয়মগুলো ℹ
- সমর্থপক্ষে দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার, ও দ্বাদশীতে একাহার।
- অসমর্থপক্ষে শুধুমাত্র একাদশীতে অনাহার।
- এছাড়াও, একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জন করে ফলমূলাদি অনুকল্প গ্রহণ।
Related Posts
➤চলুন এখন জেনে নিই নিষিদ্ধ রবিশস্য গুলো সম্পর্কে, যেগুলো ব্রত পালনকালীন সময়ে এড়িয়ে চলবেন 🚫
✪ নিষিদ্ধ রবিশস্য 🚫
নিন্মে নিষিদ্ধ রবিশস্যসমূহ উল্লেখ করা হলো:
- ধানজাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – চাউল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি, চালের পিঠা, খৈ ইত্যাদি।
- গমজাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – আটা, ময়দা, সুজি, বেকারির রুটি বা সকল প্রকার বিস্কুট, হরলিক্স ইত্যাদি।
- যব বা ভুট্টাজাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন — ছাতু, খই, রুটি ইত্যাদি।
- ডালজাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন — মুগ, মাসকলাই, খেসারি, মসুরি, ছোলা, অড়হর, ফেলন, মটরশুঁটি, বরবটি ও সিম ইত্যাদি।
- সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, তিলের তেল ইত্যাদি। উপর্যুক্ত পঞ্চ রবিশস্যের যেকোন একটি একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হয়।
➤এখন আমি কতগুলো নিষিদ্ধ বিষয় তুলে ধরবো এসব বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা⚠ অবলম্বন
করতে হবে। চলুন জেনে নিই ☞
✪ বিশেষ সতর্কতা ⚠
- একাদশীতে শরীরে প্রসাধনী ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই তেল, সাবান, শ্যাম্পু শরীরে প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
- একাদশী ব্রত পালনের আগের দিন রাত ১২টার মধ্যেই আহার শেষ করা ভালো। এছাড়াও শোয়ার আগে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে।
- একাদশী পালনের সময় কোনো ভাবেই পরচর্চা, পরনিন্দা, মিথ্যাবলা, রাগ প্রকাশ ও সহবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই এইসময় এসকল কাজ থেকে বিরত থাকুন।
- একাদশী পালনের সময় রক্তক্ষরণ বর্জনীয়। তাই সকল প্রকার কাটা-কাটির সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- এছাড়াও চুল, দাড়ি ও নখ কাঁটা একাদশী পালনের সময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই এইদিন এসব ক্রিয়া থেকে বিরত থাকুন।
এভাবে উপরের উল্লেখিত নিয়মাবলি অনুসরণ করে ব্রত পালনের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন ☑ এই পোস্টটি পড়ে সামান্য উপকৃত হলে এইপোস্টটি আপনার বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ 💟
এই ব্লগপোস্টে আমি হিন্দুদের একাদশী ব্রত পালনের সঠিক নিয়মাবলি তুলে ধরেছি। ভুল ও ত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏 এবং এ সম্পর্কে নিচের কমেন্টের মাধ্যমে আপনার মতামত জানাতে পারবেন। ধন্যবাদ 💟, এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্য। আমাদের ফেসবুক ফেইজ ও গ্রুপে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ রইল।
সম্পাদনায়: ধ্রুব দাশ (সিইও)
প্রযোজনা: VedicVoyage
অন্যান্য সহযোগিতায়: ChatGPT, Wikipedia

নমস্কার সকলকে 🙏 হরে কৃষ্ণ 🙏💟
উত্তরমুছুনহরে কৃষ্ণ 🙏💟
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুনহরে কৃষ্ণ 🥰❤️
উত্তরমুছুন